সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন ৮ই মে পর্যন্ত স্থগিত - Deshi News

১৯ মার্চ ২০১৮,সোমবার,দেশীনিউজ: বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশ ৮ই মে পর্যন্ত স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সাথে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের পক্ষে বিপক্ষে আপিল শুনানি হয়। এরপর সোমবার আদেশ ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বাংলাদেশের নিম্ন আদালত। ১৩ই মার্চ হাইকোর্ট থেকে তিনি চারমাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।
হাইকোর্টের এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন ও রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে, চেম্বার জজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছিলেন।
১৪ই মার্চআপিল বিভাগ দুদকের আইনজীবীর আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলল করার নির্দেশ দেন। এ সময় দুদকের আরেক আবেদনে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন। একই দিন লিভ টু আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেন।
হাইকোর্টের জামিন স্থগিতেরআদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ওই দিনই চেম্বার আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। সেই আবেদনটিও আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৮ই মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
খালেদা জিয়া ছাড়াও এই মামলায় বেগম জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। তাদেরকে ২ কোটিরও বেশি অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।
খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই মামলায় অপর আসামীরা হলেন, তার ছেলে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে এবং সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে।
প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার বিচার কার্যক্রম চলেছে। এরমধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, এবং ১৬ দিন ধরে যুক্তিতর্ক চলেছে। আদালতে হাজির না হওয়ায় কয়েকবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে বলেছেন, এই ঘটনায় খালেদা জিয়া জড়িত নন, এবং সেই টাকাও আত্মসাৎ করা হয়নি, কারণ এসব টাকা এখনো ব্যাংকের হিসাবেই জমা রয়েছে।
আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে করা সবগুলো মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে করা, যার কোনোটির আইনি ভিত্তি নেই। এই মামলাটিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটিকে বানোয়াট বলেও তিনি বর্ণনা করেন।
দেশীনিউজ/গেয়াস উদ্দিন
রাজনীতি
- কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে বিএনপি হতাশ:ওবায়দুল কাদের
- রিজভীর দাবি, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ
- কোটা বাতিল সরকারের পরাজয়
- মির্জা ফখরুলের মায়ের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের সমবেদনা
- প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণায় ‘কূটচাল’ দেখছে : রিজভী
- ‘এটা নজির বিহীন, আমরা আদেশ বুঝতে পারিনি: জয়নুল আবেদীন
- কারো বাড়িতে এডিস মশার জীবাণু পেলে জেল-জরিমানা করা হবে:সাঈদ খোকন
- উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনে বাধা দিচ্ছে সরকার
- সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন ৮ই মে পর্যন্ত স্থগিত
- নির্বাচন নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে
- দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই
- দুদক সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার
- খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে অরাজকতা সৃষ্টি করবে : ড. হাছান মাহমুদ
- শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি:সেতুমন্ত্রী
- খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে অনেক ষড়যন্ত্র হবে
- শিক্ষার হার শতভাগে আনতে কাজ করছে সরকার
- জাফর ইকবালের উপর হামলার জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করলেন হানিফ
- জাকিরকে ‘রিমান্ডে নিয়ে হত্যার’ প্রতিবাদে রোববার বিক্ষোভ:রিজভী
- জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষককে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ:ওবায়দুল কাদের
- দেশ ও জনগণকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে